আমাদের নিত্যদিনের খাদ্যাভাসের উপর আমাদের শরীরের সুস্থতা অনেকটাই নির্ভরশীল। একদিকে যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এবং হাসিখুশি রাখে, তেমনি কিছু খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা করুণ করে এর স্থায়ী ছাপ ফেলতে পারে । সুতরাং সুস্থতার জন্যই আমাদের চিনে নিতে হবে এমন খাবারগুলো যেগুলো থেকে দূরে থাকলেই যৌবন ও সৌন্দর্য দীর্ঘদিন ধরে রাখা যাবে। নিজেকে আজীবন সুস্থ ও তারুণ্যে ভরপুর রাখতে ফিচারটি দ্রুতই পড়ে নিন।
চিনি
ত্বকের জন্য সম্ভাব্য সবচাইতে খারাপ খাদ্য হলো চিনি। আমাদের বয়স বাড়াতে এর অবদান সবচাইতে বেশি। এরা কোলাজে এবং ইলাস্টিন ধ্বংস করে ত্বককে করে ফেলে বয়স্ক। এর পাশাপাশি এরা অকালেই আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় আর বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি। তাই মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে হলে চিনিতে ভরপুর ক্যান্ডি বারের বদলে বরং মিষ্টি কোনো ফলের দিকে হাত বাড়ান।
উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের খাবার
ময়দার তৈরি সাদা রুটি, পাস্তা, কেক ইত্যাদি হলো এমন সব খাবার যা খাওয়ার সাথে সাথে আপনার শরীরে গ্লুকোজ এবং ইনসুলিন বেড়ে যায়। এ কারণে এসব খাবার খেলে বাড়তে পারে ব্রণের উপদ্রবও। ত্বকের বারোটা বাজিয়ে এরা কম বয়সেই আপনার চেহারায় ফেলে বয়সের ছাপ।
ক্যাফেইন
ক্যাফেইন এক ধরণের ডাইইউরেটিক, তাই এটাও আপানাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে সহজেই। এটা আপনার শরীরে কর্টিসল উৎপাদনও বাড়ায়, জাকে বলা হয় স্ট্রেস হরমোন। বেশি কর্টিসল মানেই দ্রুত হয়ে ওঠে বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়া।
অ্যালকোহল
যে কোনো রকমের অ্যালকোহল আপনার শরীরকে পানিশুন্য করে দেয় আর ত্বককে করে তোলে প্রাণহীন।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্রক্রিয়াকরণের ফলে খাবারের উপকারিতা কমে যায়। এ ছাড়াও প্রক্রিয়াজাত খাবারে সোডিয়াম এবং চিনির পরিমাণ বেশি থাকে যা বয়স বাড়িয়ে তোলে।
ভাজাভুজি
তেলে ভাজা খাবার যতই মুখরোচক হোক না কেন, তা আপনার শরীরে ফ্যাট ইনটেক যেমন বাড়ায় তেমনি বাড়ায় অয়েল বিল্ডআপ। এর পাশাপাশি ভাজাভুজি খাবার ফলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া আক্রমন করে বেশি, ফলে ত্বকে দেখা যায় ব্রণের উপদ্রব।
লবণ
বিশেষ করে আয়োডিনযুক্ত লবণ মোটেই ত্বকের জন্য ভালো নয়। লবণ কোষের স্ফীতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বেশি লবণ খাওয়া তো অবশ্যই অস্বাস্থ্যকর। এ কারণে খাদ্যে লবণের মাত্রা রাখুন পরিমিত।
রেড মিট
রেড মিটে থাকে উচ্চমাত্রার কারনিটিন যা রক্তনালিকার দেয়াল শক্ত করে তোলে, কম বয়সেই বুড়িয়ে তোলে আপনাকে।
আর্টিফিশিয়াল সুইটেনার এবং রঙ
এদের তো পুষ্টিগত কোনো উপকারিতা নেই-ই, বরং এরা অ্যালার্জির উদ্রেক করতে পারে অনেকের শরীরে। অনেক সময়ে আবার এসব রাসায়নিক আপনার শরীরে জমা হয়ে থাকতে পারে, যার ফলে বার্ধক্য এগিয়ে আসে আরও দ্রুত।
(মূল: Gwen Lucas, wellnessbin)