কোন সঙ্গী ছাড়া জীবনে পথ চলা কষ্টকর, আবার সঙ্গী যদি হয় প্রতারক তবে বিড়ম্বনারও অন্ত নেই। এজন্য সহজে নিজের পছন্দ অনুযায়ী সঙ্গী পাওয়ার জন্য ঢু মারতে পারেন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়া গুলো দিনে দিনে যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে তেমনই জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রভাব বাড়ছে। অনেকই মনে করেন সোশ্যাল মিডিয়া এখন আর শুধুই অবসর যাপনের জন্য নয় । জীবনের নানান রকমের প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রে হিসাবে তারা বেছে নিয়েছেন ফেসবুক, টুইটার কিংবা ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার। সেরকমই একটি প্রয়োজন হচ্ছে নিজের জন্য উপযুক্ত জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনীকে খুঁজে বের করা ও তাকে নিজের করে নেওয়া। কীভাবে আপনি আপনার মনের মানুষকে ফেসবুকে বা সোসাল মিডিয়ায় খুঁজে নিবেন তার জন্য রইল সেরা কিছু টিপস।
১। শুধুই লেখা নয় এর সাথে ছবির মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করার চেষ্টা করুন। কারণ লেখা স্ট্যাটাসের চাইতে ছবি সহজেই মানুষের নজর কাড়ে। আর এই বিষয়টাই আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষের ক্ষেত্রে কাজে লাগান। কোথাও ঘুরতে গেলে বা রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে গেলে স্ট্যাটাস দেওয়ার বদলে খাবার ভর্তি থালার ছবি পোস্ট করুন এতে বেশি লোকের চোখ আটকে যাবে।
২। আপনার পেশা বা কোন পদ, কর্মস্থল ইত্যাদি নিজের প্রোফাইলে হাইলাইট করুন। প্রেম-ভালবাসায় ভাল চাকরির চাহিদা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আবার আপনি যদি আহামরি কোন কিছু নাও করেন তবে সেটাই আপনার সততাকে প্রকাশ করবে।
৩। আপনি যদি দেখতে তেমন সুন্দর বা আকর্ষনীয় না হয়ে থাকেন তবে স্রেফ প্রোফাইল পিকচারের জোরে আপনার কপাল ঘুচবে না। সেক্ষেত্রে স্ট্যাটাসগুলো আকর্ষণীয় করে পোস্ট করুন। আপনি যা পছন্দ করেন, যে সব বিষয়ে আপনি সবচেয়ে বেশী আত্মবিশ্বাসী স্ট্যাটাস দিন সেই বিষয়ের উপরেই। সৎ থাকুন আর তাতেই কাজ হবে।
৪। স্মার্টনেস জরুরি কিন্তু নিজেকে ওভারস্মার্ট দেখাতে গিয়ে পুরো বিষয়টাকে এলোমেলো করে ফেলবেন না। কোন মেয়ের সঙ্গে চ্যাট করার সময়ে ‘হাই হটি’ মার্কা কথা বাদ দিয়ে শালীনতার মধ্যে কথা বলুন।
৫। নিজের বাড়ির কাছের মেয়ে বা ছেলেদের সঙ্গে আলাপ জমানোর চেষ্টা করুন। আর তাতে সোশ্যাল মিডিয়ার গণ্ডির বাইরে গিয়ে বাস্তবে সরাসরি দেখাশোনার কাজটা সহজ হয়। মেয়েরা এতে সুরক্ষিত বোধ করে।
৬। ফোন নাম্বার জোগাড় করার ক্ষেত্রে ‘আচ্ছা, তুমি কি হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার কর?’ এই টাইপ প্রশ্ন পুরনো হয়ে গিয়েছে। তাই এ ধরনের সস্তা কথা বলে আস্থা নষ্ট না করে তার চেয়ে সরাসরি বলুন, ‘তোমার সঙ্গে একটু কথা বলতে চাই। ফোন নাম্বারটা পেতে পারি?’ আর তাতে বরং সে কী উত্তর দিচ্ছে তার ভিত্তিতে আপনার প্রতি তার মনোভাবটা বোঝাও সহজ হয়ে হবে।
৭। যে কাউকে আপনার ভাল লাগতে পারে কিন্তু সে জন্য যেন সে বিরক্তবোধ না করে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। প্রথম দিকে যদি দু’একটা ‘হাই’, ‘হ্যালো’-তে যদি সাড়া না পান তাহলে বুঝতে হবে আপনার আশা কম। সেক্ষেত্রে দিনরাত তাকে মেসেজ করে তার মনোভাব আপনি বদলাতে পারবেন না। বরং আপনার ব্লকড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বাড়বে।
৮। আপনার ভালোলাগার মানুষের সঙ্গে কয়েকদিন কথাবার্তার পরেই আপনার মনোভাব তাকে বুঝতে দিন। আলাপের অল্পসময়েই সরাসরি প্রোপোজ করাটা বাড়াবাড়ির মধ্যে পরে। কিন্তু তাকে আপনার ভাল লেগেছে সে সম্পর্কে শুরুতেই হালকা আভাস দেয়া শুরু করে দিন। নাহলে একবার যদি সে আপনাকে নিছক বন্ধু বলে ভাবতে শুরু করে তাহলে ‘বন্ধু’ থেকে ‘প্রেমিক’ হয়ে ওঠাটা কিন্তু প্রায় অসাধ্য সাধনের মত হবে। কাজেই প্রথম থেকেই আভাস দিন যে, আপনার মনে কী চলছে।
৯। ভাললাগার মানুষের খোঁজ খবর নেয়া শুরু করুন। ধরুন তার বাবা-মা কেমন আছে? তাদের মনে পড়ে কিনা ইত্যাদি।
১০। নিজেকে তার কাছে প্রকাশ করার পাশাপাশি তাকেও বুঝতে চেষ্টা করুন। তার ভালো লাগা, মন্দ লাগাকে মূল্য দিন। তার প্রতি আপনার শ্রদ্ধাবোধ দেখান তাতে আপনার কাজ সহজ হয়ে যাবে।
এ প্রক্রিয়ায় শুরুটা করেই দেখুন, সুন্দর সময় অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।